ইস্টার্ণ ব্যাংকের EBL MasterCard Aqua Prepaid Card অনেকগুলো সুবিধার সমন্বয়ে তৈরি একটি ইএমবি চিপ কার্ড। যাতে রয়েছে একটি প্রফেশনাল লেভেলের সিকিউরিটি , অনেক ধরনের সুবিধা এবং একটি কার্ডের মাধ্যমেই সব ধরনের কেনাকাটার সুবিধা। ইস্টার্ণ ব্যাংকের কোন একাউন্ট ছাড়াই যেকেই যেকোন সময় ইস্টার্ণ ব্যাংকের যেকোন ব্রাঞ্চ থেকে এই কার্ড নিতে পারে। দেশের যেকোন ব্রাঞ্চ থেকে টাকা ডিপোজিট করতে পারে।
অনলাইন মার্কেটার হিসেবে কোন বিজ্ঞাপন মিডিয়া (গুগল / ফেসবুক ইত্যাদি ), মার্কেটপ্লেস বা অন্যান্য জায়গায় বিল পরিশোধের জন্য সাধারন পেপাল অথবা ক্রেডিট কার্ড বা মাস্টার কার্ড নির্ধারণ থাকে। পেপাল আমাদের দেশে নেই। অনেকেই আমরা বিভিন্ন দেশের টা চালাই। কিন্তু সেটা ঝুকিপূর্ণ। আর ক্রেডিট কার্ড অধিকাংশ ব্যক্তিরই থাকে না। তাই বিল পরিশোধ অনেক বড় একটা ঝামেলার ব্যাপার হয়ে যায়। ক্রেডিট কার্ডের বিকল্প হিসেবে EBL MasterCard Aqua Prepaid Card ব্যবহার করতে পারেন। বিল পরিশোধের জন্য মাস্টার কার্ডের অপশন থাকলে আপনি এই কার্ড দিয়ে বিল পরিশোধ করতে পারেন।
এই পোস্টে আপনাদের সাথে এই কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করব।

কার্ডের সুবিধাসমূহঃ
কার্ড নেওয়ার জন্য যোগ্যতাঃ
কার্ড নিতে যা যা লাগবেঃ
তবে ব্যাংকের ব্রাঞ্চে ফটোকপি করার সুবিধা আছে। আপনি শুধুমাত্র এনআইডি কার্ড এবং পাসপোর্টের মূল কপি, ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গীন ছবি এবং ফি বাবদ ৫৭৫ টাকা নিয়ে গেলেই হবে।
যেভাবে কার্ডের জন্য আবেদন করবেনঃ
যেভাবে ডলার এনডোর্সমেন্ট করবেনঃ
যেভাবে ডিপোজিট করবেনঃ
কার্ড দিয়ে উইথড্রোঃ
কার্ড দিয়ে কোন এটিএম বুথ এর মাধ্যমে ক্যাশ আউট করতে চাইলে - কার্ডে বাংলাদেশি টাকা থাকতে হবে। যদি কার্ডে ডলার থাকে তবে ১৬২৩০ নম্বরে কল দিয়ে ডলার থেকে টাকাতে কনভার্ট করে নিতে হবে । সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ কর্মদিবস সময় লাগে।
বাংলদেশি এটিএম বুথ থেকে ক্যাশ আউটঃ
ইস্টার্ণ ব্যাংকের নিজস্ব বুথ থেকে ক্যাশ আউটঃ কোন প্রকারের চার্জ কাটবে না।
অন্য ব্যাংকের বুথ থেকে ক্যাশ আউটঃ
বুথটি QCash Network এর হলেঃ ১০ টাকা + ভ্যাট ।
বুথটি NPSB Network হলেঃ ১৫ টাকা সর্বসাকুল্যে ।
বুথটি MasterCard Network হলেঃ ২৫ টাকা + ভ্যাট ।
বিঃদ্রঃ বাংলাদেশের অধিকাংশ বুথ NPSB Network এর।
বিদেশী বুথ থেকে ক্যাশ আউটঃ
মাস্টার কার্ডের লোগো সম্বলিত বিশ্বের যেকোন বুথ থেকে ক্যাশ আউট হবে। সেক্ষেত্রে কার্ডে ডলার ডিপোজিট করা থাকতে হবে। যেমনঃ বাংলাদেশ থেকে ২০,০০০ টাকার সমপরিমাণ ডলার ডিপোজিট দিয়ে ইন্ডিয়ার কোন মাস্টার কার্ড লোগো সম্বলিত বুথ থেকে ক্যাশ আউট করলে ডিপোজিটকৃত ডলারের সমপরিমান রুপি বের হবে। সেই সাথে সেই দেশের যেকোন দোকান বা শো রুম থেকে এই কার্ড দিয়ে পস মেশিনে বিল পরিশোধের মাধ্যমে কেনাকাটা করতে পারবেন।
কার্ড রিনিউঃ
এই কার্ডের মেয়াদকাল তিন বছর । প্রথমবার কার্ড একটিভ হওয়ার পর নির্ধারিত মেয়াদের তিন বছর চালু থাকবে। এরপর কার্ডটি অটোমেটিক ভাবে ডিঅ্যাক্টিভ হয়ে যাবে । তবে এটি একটিভ করার জন্য ব্যালেন্সে ৫৭৫ টাকা রেখে কাস্টমার কেয়ার ১৬২৩০ নাম্বারে ফোন দিলে অটোমেটিক ভাবেই তারা কার্ড একটিভ করে দিবে। সেক্ষেত্রে ব্যালান্সের ৫৭৫ টাকা চার্জ হিসেবে কেটে দিবে।
বাৎসরিক চার্জ বাবদ ভ্যাটসহ ২৩০ টাকা চার্জ কাটবে প্রতি বছর।
যেকোন প্রয়োজনে যোগাযোগঃ
কাস্টমার কেয়ার মোবাইল নাম্বারঃ ১৬২৩০
কাস্টমার কেয়ার ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারঃ EBL DIA
ভাইবারঃ Viber এ EBL DIA দিয়ে সার্চ দিন।
ই- মেইলঃ [email protected]
কিছু প্রশ্নঃ
প্রশ্ন ১- ভুল করে ডলারের জায়গায় টাকা ডিপোজিট হলে কি করব?
উত্তরঃ কাস্টমার কেয়ারে ১৬২৩০ নম্বরে কল দিয়ে টাকাকে ডলারে কনভার্ট করে দিতে বলবেন। ঐ দিনের রেট অনুযায়ী তারা কনভার্টের জন্য রিকোয়েস্ট রেখে দিবে। পরবর্তী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে ডলারে কনভার্ট হয়ে যাবে।
প্রশ্ন ২- ডলারের রেট কত করে?
উত্তরঃ ডলারের রেট বাংলাদেশ ব্যাংকের রেট অনুযায়ী। একেক দিন একেক রকম। কিছুদিন আগে আমার রিচার্জের রেট ছিল ১ ডলার = ৮৩.৬৫ টাকা ছিলো। EBL ডলার রেট
প্রশ্ন ৩- ডিপোজিট লিমিট কত?
উত্তরঃ একদিনে সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ডিপোজিট করা যাবে। তবে ২০,০০০ টাকার উপরে ডিপোজিট করতে চাইলে ইনকাম ভ্যালিডিটি প্রুভের জন্য একটা ফর্ম পূরণ করতে হবে।
কমেন্ট করুন